স্মার্টফোনের স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে গেলে, তা অস্বাভাবিক কিছু হবে না। কারণ সারাক্ষণই আমাদের স্মার্টফোনের স্টোরেজে কিছু না কিছু জমতে থাকে। হয়তো পছন্দের কোনো গান বা মজাদার কোনো ভিডিও ক্লিপস। গেমস বা অদরকারি অনেক অ্যাপসও আমরা ফোনে ইনস্টল করে রাখি, যার বেশিরভাগই হয়তো আমাদের দরকার পড়ে না। আর ছবি তোলা তো আছেই।
সবচেয়ে সমস্যা হতে পারে বাজেট স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে। কারণ, বাজেট স্মার্টফোনে ইন্টারনাল মেমোরি সাধারণত বেশি হয় না। ফলে অ্যাপস, গেমস, ছবি, ভিডিও, গান জমতে জমতে স্মার্টফোনটি স্লো হয়ে যাওয়ায় হ্যাং করতে পারে। কিংবা অ্যাপ অথবা লঞ্চার ক্র্যাশ করতে পারে, জরুরি সময় মেমোরির অভাবে ছবি তুলতে পারবেন না- সব মিলিয়ে এক অসহায় অবস্থায় পড়া লাগতে পারে।
সুতরাং স্মার্টফোনের স্টোরেজ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু টিপস জেনে নিন।
* প্রথমে ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি চেক করুন। দেখুন, কত জিবি মেমোরি ভর্তি রয়েছে আর কত জিবি খালি। তাহলেই মোটামুটি একটা আন্দাজ করতে পারবেন ভবিষ্যতে কতটা মেমোরি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
* সেটিংস অপশনে গিয়ে খুলুন অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার। এবার দেখুন কোন অ্যাপ কত স্টোরেজ দখল করে রয়েছে। যে অ্যাপ বেশি স্টোরেজ দখল করেছে, তার যাবতীয় অ্যাপ ডেটা মুছে দিন।
* গুগল প্লে-স্টোরে বিনা মূল্যে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড মেমোরি অপটিমাইজার অ্যাপ। যে কোনো একটি ডাউনলোড করুন ও ফোনে ইনস্টল করুন। ব্যবহারের পর দেখবেন, অনেকটা জায়গা ফাঁকা হয়েছে।
* আমাদের একটা অভ্যাস হলো, হাতে ক্যামেরা ফোন থাকলেই দরকারে-অদরকারে নিজের বা অন্যের ছবি তুলতে থাকি, ভিডিও শ্যুট করতে থাকি। হয়তো তার অনেকগুলোই খুব মূল্যবান স্মৃতি, কিন্তু সবগুলোই তো একইরকম গুরুত্ব রাখে না, তাই না? তাই দরকার নেই এমন নতুন পুরনো ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ ডিলিট করুন। ফোনে জমে থাকা দরকারি ছবি ও ভিডিও ফাইলের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। তাই প্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও ফাইলগুলো কম্পিউটারে সরিয়ে ফেলুন।
* কিংবা গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্স-এর মতো ক্লাউড স্টোরেজে দরকারি ছবি আপলোড করে রাখতে পারেন। শুধু ছবি বা ভিডিও নয়, গান বা অন্যান্য ডকুমেন্ট ফাইলও ক্লাউড স্টোরেজে রেখে দিতে পারেন। খুব জরুরি কিছু ফাইল ছাড়া বাকি সবগুলো ফোন মেমোরি থেকে ফেলে দিন।
* স্মার্টফোনে ইনস্টল করা প্রতিটি অ্যাপ বেশ অনেকটা মেমোরি দখল করে থাকে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আপনার ফোন থেকে আন-ইনস্টল করে ফেলুন। হতে পারে পুরনো কোনো গেমিং অ্যাপ, যা আপনি এখন আর খেলেন না। সেগুলো মুছে ফেললে অনেকটা জায়গা ফাঁকা হয়ে যাবে। এই অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থেকে ফোনকে স্লো করে দেয়, আবার ব্যাটারিও খরচ করে বেশি।
* দামি বেশ কিছু স্মার্টফোনে ফোর-কে ফরম্যাটে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুবিধা রয়েছে। ফোর-কে ফরম্যাটে ভিডিওর ফাইল সাইজ সাধারণত এইচডি ও ফুল এইচডি ফরম্যাটের চেয়েও অনেক বড় হয়। তাই এই ফরম্যাটে শ্যুট করা এড়িয়ে চলুন।
* এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড যেমন ইন্টারনাল মেমোরির পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করা যায় (অর্থাৎ ফোনের মোট স্টোরেজ বাড়াতে), তেমনি ব্যবহার করা যায় ইন্টারনাল মেমোরির বোঝা কমাতেও। মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা আছে এমন প্রতিটি ফোনেই ফাইল ম্যানেজার অ্যাপ থাকে, যার মাধ্যমে ফোন মেমোরি থেকে কার্ড মেমোরিতে ফাইল ট্রান্সফার করা যায়। তাই যেসব ফাইল আপনার ফোনে রাখতেই হবে সেগুলো ফোন মেমোরির বদলে সরিয়ে ফেলুন কার্ডে।
No comments:
Write comments