১২ তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পর্যন্ত উত্তীর্ণদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগযোগ্য মোট শূন্যপদের ২০ভাগ বরাদ্দ রাখার চিন্তা ভাবনা করছেন শিক্ষাকর্তারা।বাকী ৮০ ভাগ পদে নিয়োগ দেয়া হবে নতুন পদ্ধতিতে নেয়া ১৩ম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে। এ বিষয়টা চিন্তা-ভাবনার পর্যায়ে। এখনও এ নিয়ে কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি তাই সিদ্ধান্তও হয়নি। খুব দ্রুত একটা বৈঠক হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন একাধিক ঊর্ধতন কর্মকর্তা।
বেসরকারি হাইস্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগ পেতে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ২০০৫ সাল থেকে বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
এদিকে, নিবন্ধনধারীরা চাইছেন আগে তাদের নিয়োগ শেষ হোক তারপর ১৩তম পরীক্ষা। আবার কেউ কেউ চাইছেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাস-কারিগরিতে নিয়োগযোগ্য ৮০ শতাংশ পদ পুরনো নিবন্ধন সনদধারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হোক।
নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের এক আদেশে দেশের সকল বেসরকারি হাইস্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ শূন্যপদের তালিকা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে আপলোড করছেন। গতবছর জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্যপদের যে তালিকা সংগ্রহ করেছিলেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
মোটামুটি হিসেবে এখন পর্যন্ত নিবন্ধনাধারীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এর মধ্যে সবাই যে শিক্ষক হতে চান তা নয়। অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন। তবে, সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ১২ ও ১১ তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। ১২তমরা পাস করার পর থেকেই নিয়োগ বন্ধ। ১২তম পরীক্ষাও পুরনো পদ্ধতিতে হয়েছে। ওই পরীক্ষার ঘোষণার পরপরই নিবন্ধন পরীক্ষা ও নিয়োগ পদ্ধতিই পাল্টে গেছে। আইনের বিধান পরিবর্তন হয়েছে। ১ম পরীক্ষা হয় ২০০৫ সালে। ১ম থেকে ৫ ম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদের মেয়াদ আছে কী-না তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
পুরনো নিবন্ধনধারীদের হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে কথা বলার মতো কেউ নেই। শিক্ষক সংগঠনগুলোও এগিয়ে আসছে না।
কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানান, নিবন্ধনধারীরা তো শিক্ষক নন। তারা শিক্ষকতা পদে চাকরির আবেদন করার জন্য একটি সনদধারী মাত্র। তাই তাদেরকে শিক্ষক হিসেবে গণ্য করে আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া যায় না। তবে তারা আলাদা কর্মসূচি দিলে সমর্থন দেয়া যাবে।
Source:www.dainikshiksha.com
http://exposebd.com/archives/4794
No comments:
Write comments