Tuesday 17 May 2016

IELTS প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন






যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য বিদেশে পড়াশুনা করতে চাই তাদের কাছে আইইএলটিএস খুবই পরিচিত শব্দ।বর্তমানে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে চাইলে আইইএলটিএস এ স্কোর ভাল কারা ছারা কোন উপায় নাই। আগে শুধু যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাই আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নিতেন।তবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র,কানাডার,ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এটি গ্রহণ করছে। ইউরোপের দেশ জার্মানিতে পড়তে চাইলে আইইএলটিএস ছারা কোন বিকল্প নেই।যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এর জন্য তেমন কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। 

পরীক্ষার পদ্ধতি

আইইএলটিএস পরীক্ষা দুই ধরনের হয়,
১।একাডেমিক ও
২।জেনারেল ট্রেনিং।

যারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার করতে চাই তাদেরকে  একাডেমিক মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। আর ইমিগ্রেশনের জন্য সাধারণত জেনারেল ট্রেনিং মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়।

আইইএলটিএস পরীক্ষায়  দুই ধরনের(একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং) মডিউলেই চারটি সেকশন থাকে
Listening, Reading, Writing and Speaking।

লিসেনিং (Listening)


লিসেনিং (Listening) সেকশন এ কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয়।পরীক্ষার উত্তরপত্র হয় সাধারনত শুন্য স্থান পুরনের মত।কোনো বিষয়ে বক্তৃতা, কথোপকথন ইত্যাদি বাজিয়ে শোনানো হয় পরীক্ষার্থীদের। প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় শোনা অংশ থেকেই । কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয় একটি বিষয়।এই সেকশন এ ৪০ টি প্রশ্ন থাকবে।

রিডিং (Reading)

এই সেকশন এ তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্ন থাকবে। সময় থাকবে এক ঘণ্টা। নানা জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা কোন গল্প থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই সংক্ষিপ্ত উত্তর,বাক্য পূরণ ও  সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি থাকবে।

রাইটিং (Writing)

রাইটিং (Writing)  সেকশন এ পরীক্ষার্থীর ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয়। প্রথম প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো চার্ট অথবা ডায়াগ্রাম থাকবে। এ চার্ট অথবা ডায়াগ্রাম থেকে নিজের কথায় বিশ্লেষণধর্মী উত্তর লিখতে হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি যুক্তি মূলক হয় ।এখানে সাধারণত কোনো বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে মত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়।সময় থাকবে এক ঘণ্টা। 

স্পিকিং (Speaking)

এই সেকশন এ তিনটি অংশে মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয় তার নিজের সম্পর্কে,যেমনঃ
পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষযে দুই মিনিট কথা বলতে হয়। তৃতীয় অংশে পরীক্ষকের সঙ্গে চার থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য  কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কথোপকথন করতে হয়।

আইইএলটিএসের স্কোর

আইইএলটিএসের স্কোর এক থেকে নয়-এর স্কেলে দেওয়া হয়। চারটি সেকশনে আলাদাভাবে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়।এগুলোর গড় করে সম্পূর্ণ একটি স্কোর দেওয়া হয়।একাডেমিক মডিউলে সাধারনত ৬.৫ পেতে হয়, না হলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায় না।

আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি


আইইএলটিএস এর প্রস্তুতির শুরুতেই আপনার লক্ষ্য ঠিক করে নেয়া উচিত।পরীক্ষা দেওয়ার আগেই জেনে নিন ন্যূনতম কত স্কোর প্রয়োজন আপনার।প্রথমে একটা মক টেস্ট দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারেন। মক টেস্ট এর স্কোর দেখে বুঝতে পারবেন কোথায় আপনি দুর্বল।আপনার দুর্বল পয়েন্ট গুলো বের করে,সে অনুযায়ী প্রস্তুতির পরিকল্পনা করে নিন।প্রতিদিন নিয়ম করে প্রস্তুতি নিন আর আপনার দক্ষতা বাড়াতে থাকুন।অন্তত তিন মাস সময় হাতে নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া ভালো।স্পিকিংয়ের জন্য বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এবং বাসায় ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। এভাবে কিছুদিন ধরে চর্চা করতে থাকুন।আইইএলটিএস পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর তেমন কঠিন কিছু হবে না, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এ জন্য প্রস্তুতির সময় ঘড়ি ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান করতে হবে।কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত আইইএলটিএস পরীক্ষার পুরনো প্রশ্নপত্রের বই কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো প্রতিদিন সমাধান করুন।

ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি এর মাধ্যমে আইইএলটিএস সম্পর্কে যেকোনো তথ্য পেতে পারেন।

কখন,কোথায় ও কীভাবে পরীক্ষা দেবেন

বাংলাদেশে  ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপির আয়োজনে আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়। প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট তারিখে দুই বা তিনবার পরীক্ষা দেওয়া যায়। ওয়েবসাইটে অথবা ফোন করে পরীক্ষার তারিখ জেনে নিতে পারেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার ফি এখন ১৩ হাজার ৮০০ টাকা। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও দুই কপি পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি লাগবে। ছবি ছয় মাসের বেশি পুরোনো হলে তা গ্রহণ করা হবে না।আইইএলটিএস স্কোরের মেয়াদ দুই বছর।পরীক্ষার নিবন্ধনে এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এখন অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে। এরপর টাকা জমা দেওয়া যাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখায়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেখে নিতে পারবেন কোন কোন শাখায় টাকা জমা দেওয়া যাবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর সেখানেই নির্দিষ্ট বাক্সে ডিপোজিট স্লিপ ও অনলাইনে পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট করা কপি, ছবি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজ রেখে দিতে হবে।ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে তা সংগ্রহ করে নেবেন।এরপর ফোনে বা এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে  জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার সময়, স্থান, নিবন্ধন নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাবস্থা করে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল।


যোগাযোগঃ
ফোন:আইডিপি বাংলাদেশ
০৯৬৬৬-৭৮২-৭৮২
ওয়েবসাইট: www.bangladesh.idp.com
ফোন: ব্রিটিশ কাউন্সিল
ঢাকা-০২৮৬১৮৯০৫
চট্টগ্রাম-০৩১৬৫৭৮৮৪-৬
সিলেট-৮২১৮১৪৯২৫।
ওয়েবসাইট: www. ielts.org, www.britishcouncil.org/bangladesh 




No comments:
Write comments