কেন্দ্র জটিলতায় পড়েছে হাজার হাজার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যা থেকে জানা যায় কয়েকজন নিবন্ধন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে লেখা রয়েছে এক কেন্দ্রের নাম কিন্তু মোবাইলে মেসেজ এসেছে অপর এক কেন্দ্রর নাম। এমতাবস্থায় তার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এখন কোনটাকে প্র্রধান্য দেবেন?কিন্তু নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাননি তারা।
বিগত বছরের তথ্যে দেখা যায়, ১২ তম নিবন্ধন পরীক্ষার আগে প্রায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষাই দিতে পারেননি ৭ হাজার পরীক্ষার্থিখারথি । ২০১৫ সালের আগস্টে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট আগামীকাল (১৩ মে) অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা। স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা হবে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। ৬ লাখ ২ হাজার ৩৩ জন আবেদনকারী বসছেন এ পরীক্ষায়।
২০টি জেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৪শ` কলেজে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।
মন্ত্রণালয় ও নিবন্ধন অফিসের প্রায় ৫০ জন অফিসারকে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা দেখার দায়িত্ব দিয়ে।
গত ৬ ও ৭ মে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ইউপি নিবাচনের কারণে পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে প্রিলিমিনারি তারপর লিখিত ও সবশেষে মৌখিক পরীক্ষা হবে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণদের আটটি বিভাগীয় শহরে লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে। স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা ১২ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১২টা এবং ১৩ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলেজের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এই পরীক্ষার ভিত্তিতেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তবে, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগের পদ্ধতিতেই হবে।
Source:Dainikshiksha.com
No comments:
Write comments